Time & Date:: 02:50:59 PM Monday 14-04-2025
আসসালামু আলাইকুম। ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।। এই ওয়েব ব্লগটি সকল মুসলিম ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গ করা হলো আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে নিয়মিত চোখ রাখুন।। কারও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে অনুগ্রহ করে নিচে 'যোগাযোগ' লিংকে ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ইসলামে নববর্ষ উদযাপন ও করণীয়



সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি আমাদেরকে সর্বোত্তম দীনের অনুসারী সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূলের উম্মত হওয়ার তাওফিক দান করেছেন সালাত সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মদ ইব্ আব্দুল্লাহর উপর, যিনি আমাদেরকে কল্যাণকর সকল পথ বাতলে দিয়েছেন এবং সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে সতর্ক করেছেন আরো সালাত সালাম বর্ষিত হোক তার পরিবারবর্গ সাথীদের উপর, যারা তার আনীত দীন আদর্শকে যথাযথভাবে পরবর্তী উম্মতের নিকট পৌঁছে দিয়েছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা তাদের সুন্দরভাবে অনুসরণ করবে সবার উপর অতঃপর: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা অন্ধকার রাতের ঘনঘটার ন্যায় ফেতনার পূর্বে দ্রুত আমল কর, [যখন] ব্যক্তি ভোর করবে মুমিন অবস্থায়, সন্ধ্যা করবে কাফির অবস্থায়; অথবা সন্ধ্যা করবে মুমিন অবস্থায়, ভোর করবে কাফির অবস্থায় মানুষ তার দীনকে বিক্রি করে দিবে দুনিয়ার সামান্য বিনিময়ে (মুসলিম, ১৭৩)

আমরা বর্তমান ফেতনার সে অন্ধকারে বাস করছি, আমাদের চারপাশে ঘোর অন্ধকার, মূর্খতার অন্ধকার, কুসংস্কারের অন্ধকার, বিদআতের অন্ধকার, শিরকের অন্ধকার, সঠিক পথ খুজে পাওয়া দুষ্কর বিশেষ করে ইহুদি-খৃস্টান কাফেরদের সংস্কৃতি আমাদের গ্রাস করে রেখেছে আমরা তাতে গভীরভাবে মগ্ন হয়ে পড়েছি নিজেদের দীন আদর্শের পরিবর্তে তাদের কালচার আবিষ্কৃত উপলক্ষে মেতে আছি উম্মতের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার আশঙ্কা করেছেন এবং যার থেকে তিনি উম্মতকে বারবার সতর্ক করেছেন

আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের রাস্তা অনুসরণ করবে বিঘতে বিঘতে হাতে হাতে; তারা যদি গুঁইসাপের গর্তে ঢুকে তোমরা অবশ্যই তাদের অনুসরণ করবে; আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, ইহুদি খৃস্টান? তিনি বললেন: তবে কে”? (বুখারি, ৩২২১; মুসলিম, ৪৮২৮)

নববি ইমাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন: বিঘতে বিঘতে, হাতে হাতে গুঁইসাপের গর্তের উদাহরণ পেশ করার অর্থ কঠিনভাবে তাদের অনুসরণ করা অনুসরণ অর্থ কুফরি নয়, বরং পাপাচার ইসলামের বিরোধিতায় তাদের অনুকরণ করা উদ্দেশ্য এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট মুজিজা, তিনি যার সংবাদ দিয়েছেন আমরা তা চাক্ষুষ দেখছি [ইমাম নববি কর্তৃক সহি মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থ: (১৬/১৮৯)]

ইব্ কাসির রাহিমাহুল্লাহ বলেন: আমাদের পূর্ববর্তী কিতাবিদের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ শরিয়তে নিষিদ্ধ কর্ম সম্পর্কে সংঘটিত হওয়ার পূর্বে সংবাদ দেয়ার অর্থ আমাদেরকে তাদের কথা কর্মের সাদৃশ্য গ্রহণ করা থেকে নিষেধ করা কোন মুমিনের উদ্দেশ্য এতে ভালো হলেও বাহ্যিকভাবে তাদের মিল প্রকৃত অর্থে তাদের কর্ম হিসেবে গণ্য হবে [আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াহ: (/১৪২)]

মুনাবি রাহিমাহুল্লাহ বলেন: সংবাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক মুজিজা আজ তার উম্মতের বড় এক গোষ্ঠী কৃষ্টি-কালচার, যানবাহন, পোশাক-পরিচ্ছদ যুদ্ধ ইত্যাদির নীতিতে পারস্যের অনুসরণ করছে আবার ইহুদি-খৃস্টানদের আনুগত্য করছে মসজিদ সজ্জিত করা, কবরকে অধিক সম্মান করা, যার ফলে মূর্খরা তার ইবাদতে মগ্ন হয়েছে, ঘুষ গ্রহণ করা, দুর্বলদের শাস্তি দেয়া সবলদের ক্ষমা করা, জুমার দিন কর্ম ত্যাগ করে ছুটি কাটানো ইত্যাদি বিষয়ে [ফায়দুল কাদির: (/২৬২)]

যুগে তাদের অন্ধানুকরণ সীমা ছাড়িয়ে গেছে বিশেষ করে পার্থিব শৌর্য-বীর্য বৈজ্ঞানিক উন্নতির ফলে তারা রীতিমত অনেক মুসলিমের জন্য ফেতনায় পরিণত হয়েছে ইলেকট্রিক প্রযুক্তি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে ঘরে ঘরে নিমিষে পৌঁছে যাচ্ছে তাদের আচার-অনুষ্ঠান তারা যাই করে মুসলিমের একাংশ তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাদের উৎসব, সংস্কৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করে, তাতে যোগ দেয় আনন্দ করে কি নববর্ষ, কি মৃত্যু বার্ষিকী, কি জন্ম বার্ষিকী, কি বিবাহ বার্ষিকী, কি বাবা দিবস, কি মা দিবস, কোন কিছুতেই কুণ্ঠাবোধ নেই তারা করছে তাই আমরা করছি ভালো-মন্দ, বৈধ-অবৈধ কুফর-শিরক ভেবে দেখার ফুরসত নেই তারা দীন থেকে দূরে সরে গেছে, ভুলে গেছে ইসলামী আদর্শ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখল সে তাদের অন্তর্ভুক্ত (আবু দাউদ, ৩৫১৪) 

এতো কঠোর হুশিয়ারি সত্বেও মুসলিম তাদের অনুসরণে ঘটা করে প্রতিবছর থার্টিফাস্টউদযাপন করে। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা বার্ধক্যকে পরিবর্তন কর, কিন্তু ইহুদিদের সাথে মিল রেখ না (তিরমিজি, ১৬৭১; আহমদ, ১৩৬১; ইমাম তিরমিজি রাহিমাহুল্লাহ বলেন: আবু হুরায়রার হাদিস সহি হাসান) 

ইব্ ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর, মুছ ছোট কর দাঁড়ি লম্বা কর (মুসলিম, ৩৮৭)

ইব্ তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন: আল্লাহর কিতাব, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত, খোলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ সকল আলেম একমত যে, মুশরিকদের বিরোধিতা করতে হবে এবং তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা যাবে না [মাজমুউল ফতোয়া: (২৫/৩২৭)]

কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে কোন কওমের সাথে সামঞ্জস্য রাখল, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত (আবু দাউদ, ৩৫১৪; আহমদ, ৫১০৬; ইব্ হিব্বান হাদিসটি সহি বলেছেন)

ইব্ তাইমিয়াহ রহ. বলেন: সনদ জাইয়্যেদ অর্থাৎ সনদের রাবিগণ গ্রহণযোগ্য। ইকতিদাউস সিরাতুল মুস্তাকিম: (/২৪০), হাফেজ ইব্ হাজার রহ. বলেন: হাদিসটি আবু দাউদ সহি সনদে বর্ণনা করেছেন। ফাতহুল বারি: (১১/৪৪৩)

প্রসঙ্গে ইব্ তাইমিয়াহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন: হাদিসের সর্বনিম্ন দাবি তাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা হারাম, যদিও হাদিসের বাহ্যিক অর্থের দাবি কুফরি [আলফুরু: (/৩৪৮)]

ইব্নুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন: এর রহস্য বাহ্যিক সাদৃশ্য মানুষকে নিয়ত আমলের সাদৃশ্যের দিকে ধাবিত করে [ইলামুল মুয়াক্কিয়িন: (/১০৭)] তিনি আরো বলেন: কিতাবি অন্য কাফেরদের সাদৃশ্য গ্রহণ করা থেকে একাধিক জায়গায় নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কারণ বাহ্যিক সামঞ্জস্য আভ্যন্তরীণ সামঞ্জস্যের দিকে ধাবিত করে, যখন আদর্শের সাথে আদর্শ মিলে যায়, তখন অন্তরের সাথে অন্তর মিলে যায় [ইগাসাতুল লাহফান

সানআনি রাহিমাহুল্লাহ বলেন: হাদিস প্রমাণ করে যে ব্যক্তি ফাসেক অথবা কাফের অথবা বিদআতির সাথে পোশাক অথবা যানবাহন অথবা কোন বিষয়ে মিল রাখলো, যা তাদের নিদর্শন, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত ফকিহগণ বলেছেন: কেউ যদি কাফেরদের সাথে মিল রেখে তাদের মত হওয়ার বিশ্বাস পোষণ করে, তাহলে সে কাফের আর বিশ্বাস পোষণ না করলে তারা ইখতিলাফ করেছেন। কেউ বলেছেন: কাফের, হাদিসের বাহ্যিক দাবি তাই। কেউ বলেছেন: কাফের বলা হবে না, বরং তাকে শাস্তি দেয়া হবে [সুবুলুস সালাম: (২০১৮)]

 

শুভ নববর্ষ বলা

আমরা চিন্তা করেছি কিংবা ভেবে দেখেছি যে, নববর্ষের শুরুতে যখন বলি, যাকেই বলি: “শুভ নববর্ষ”, কিংবাহ্যাপি নিউ ইয়ার”? কার অনুসরণ করছি, কাকে বলছি কি বলছি? নিশ্চয় আমরা চিন্তা করিনি, চিন্তা করলে কখনো আমাদের বিবেক সায় দিত না কুফরি কথার পক্ষে, কিংবা তাদের শুভেচ্ছা জানানোর প্রতি, যারা ঈসা আলাইহিস সালামকে বলেছে স্বয়ং আল্লাহ, কখনো বলেছে আল্লাহর পুত্র, কখনো বলেছে তিনজনের তৃতীয় সত্বা। ইরশাদ হচ্ছে:

﴿وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ عُزَيۡرٌ ٱبۡنُ ٱللَّهِ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَى ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ ٱللَّهِۖ ذَٰلِكَ قَوۡلُهُم بِأَفۡوَٰهِهِمۡۖ يُضَٰهِ‍ُٔونَ قَوۡلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَبۡلُۚ قَٰتَلَهُمُ ٱللَّهُۖ أَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ
আর ইহুদিরা বলে, ‘উজাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে, ‘মাসীহ আল্লাহর পুত্র। এটা তাদের মুখের কথা, তারা সেসব লোকের কথার অনুরূপ বলছে যারা ইতঃপূর্বে কুফরি করেছে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন, কোথায় ফেরানো হচ্ছে এদেরকে”? (সূরা তওবা:, ৩০)

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:

لَّقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ ثَالِثُ ثَلَٰثَةٖۘ وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ وَإِن لَّمۡ يَنتَهُواْ عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ
অবশ্যই তারা কুফরী করেছে, যারা বলে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তিন জনের তৃতীয়জন যদিও এক ইলাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর যদি তারা যা বলছে, তা থেকে বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের মধ্য থেকে কাফিরদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব স্পর্শ করবে (সূরা মায়েদা, ৭৩)

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:
لَقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَۖ
অবশ্যই তারা কুফরি করেছে, যারা বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ হলেন মারইয়াম পুত্র মাসীহ (সূরা মায়েদা:,৭২)

অথচ ঈসা আলাইহিস সালাম কখনো কথা বলেননি। তার কথা আল্লাহ নকল করেছেন এভাবে:

وَقَالَ ٱلۡمَسِيحُ يَٰبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمۡۖ إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ
আর মাসীহ বলেছে, ‘হে বনি ইসারাঈল, তোমরা আমার রব তোমাদের রব আল্লাহর ইবাদত কর নিশ্চয় যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই (সূরা মায়েদা, ৭২)

তাদের কুফরি কথার কারণে আসামন, যমীন পাহাড়সমূহে কম্পন সৃষ্টি হয়, তারা ভীত হয়। ইরশাদ হচ্ছে:

تَكَادُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ يَتَفَطَّرۡنَ مِنۡهُ وَتَنشَقُّ ٱلۡأَرۡضُ وَتَخِرُّ ٱلۡجِبَالُ هَدًّا ٩٠ أَن دَعَوۡاْ لِلرَّحۡمَٰنِ وَلَدٗا ٩١ وَمَا يَنۢبَغِي لِلرَّحۡمَٰنِ أَن يَتَّخِذَ وَلَدًا
এতে আসমানসমূহ ফেটে পড়ার, যমীন বিদীর্ণ হওয়ার এবং পাহাড়সমূহ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। কারণ তারা পরম করুণাময়ের সন্তান আছে বলে দাবি করে। অথচ সন্তান গ্রহণ করা পরম করুণাময়ের জন্য শোভনীয় নয় (সূরা মারইয়াম, ৯১-৯৩)

যারা আল্লাহর সাথে শরীক করেছে তার গোস্বার পাত্রে পরিণত হয়েছে, তাদের জন্য আল্লাহ জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন, আমরা কিভাবে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই, কিভাবে তাদের অনুসরণ করি এবং বলি নববর্ষের শুভেচ্ছা

ইব্নুল কায়্যিম জাওযি রাহিমাহুল্লাহ বলেন:তাদেরকে তাদের কুফরি উৎসব উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো সবার নিকট হারাম, যেমন বলা: “তোমার উৎসব সফল হোক”, “শুভ বড় দিনঅথবা জাতীয় অন্যান্য শব্দ, যা বর্তমান আমরা শুনতে পাই এভাবে শুভেচ্ছা জানানোর ফলে যদিও সে কাফের হয় না, কিন্তু তার কর্ম হারাম কোন সন্দেহ নেই কারণ প্রকারান্তরে এভাবে সে ক্রুশকে সেজদার প্রতি উদ্বুদ্ধ করছে! জাতীয় শুভেচ্ছা মদ্যপ, হত্যাকারী ব্যভিচারীকে শুভেচ্ছার জানানোর চেয়ে মারাত্মক অথচ যে কবিরা গুনাহের জন্য শুভেচ্ছা জানাল, সে নিজেকে আল্লাহর শাস্তি গোস্বার জন্য প্রস্তুত করল (আহকামু আহলিয যিম্মাহ)


Facebook Comment