Time & Date::
আসসালামু আলাইকুম। ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।। এই ওয়েব ব্লগটি সকল মুসলিম ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গ করা হলো আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে নিয়মিত চোখ রাখুন।। কারও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে অনুগ্রহ করে নিচে 'যোগাযোগ' লিংকে ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সমস্যা ঈমানশুন্যতার


তাবলীগী জামা’আত সর্বদা ঈমান ও এক্বীনের কথা বলে। এ দু’টিকে মজবুত করার কথাও বলে। কিন্তু কতটুকু সফল হয়েছে এ লক্ষ্যে? সামনে অন্যায় হতে দেখলে ঈমানদারের দায়িত্ব হলো, সামর্থ থাকলে হাত দিয়ে সেটি প্রতিহত করা। সে সামর্থও না থাকলে সেটি মুখ দিয়ে প্রতিহত করা। আর সে সাম্ররথটিও যদি নাহয় সে অন্যায়কে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করা। আর এ ঘৃণাটুকু হলো সবচেয়ে কমজোর ঈমানের লক্ষণ। কিন্তু সমাজে ও রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় অপরাধটি ব্যক্তির উপর রাহাজানি নয়, দোকানপাট বা গৃহের উপর ডাকাতিও নয়। বরং সেটি হলো রাষ্ট্রের উপর ডাকাতি। কোনো দেশে এমনকি শতশত ব্যক্তি, গৃহ বা দোকানের উপর ডাকাতি হলেও তাতে জাতি ধ্বংস হয়না। এমন ডাকাতি তো সব দেশেই ঘটে। কিন্তু জাতীয় জীবনে ধ্বংস, পরাজয় ও অপমান নেমে আসে যখন দেশ অধিকৃত হয় রাজনৈতিক দস্যুদের হাতে। মুসলিম উম্মাহর আজকের দুর্দশা তো এমন ডাকাতদের কারণেই। তাদের কাছে রাজনীতি নিছক ছদ্মবেশী ভণিতা। তারা শুধু রাষ্ট্রীয় তহবিলের উপর ডাকাতি করেনা, জনগণের পকেটেও হাত দেয়। হাত দেয় বিদেশ থেকে প্রাপ্ত সাহায্যের অর্থের উপরও। এসব রাজনৈতিক দস্যুদের স্বৈরাচারী শাসন ও লুন্ঠনের ফলে প্রায় ২০০ কোটির অধিক মুসলমান আজ শক্তিহীন। ইসরাঈলের ৪০ লাখ ইহুদীর যে শক্তি আছে সেটিও তাদের নেই। অতীতে এসব ডাকাতরাই লুটের সম্পদ দিয়ে পিরামিড ও বিভিন্ন প্রাসাদ গড়ছে এবং আজও গড়ে তুলছে। অধিকৃত ভূমিতে নিজেদের দখলদারি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তারা গরে তুলেছে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক অবকাঠামো। মহান আল্লাহর শরীয়তি বিধানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় শত্রু হলো এসব রাজনৈতিক দস্যুরা। কারণ শরীয়তের প্রতিষ্ঠায় তাদের স্বৈরাচারী সম্ভোগে যেমন ছেদ পড়ে, তেমনি তাদের হাতও কাটা পড়ে। সামর্থ থাকলে ঈমানদারের উপর ফরজ হলো, এ দুর্বৃত্ত ডাকাতদের সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা। তাদের কাজ শুধু রাতে দোয়া দরূদ ও নফল নামাজ আদায় নয়, এসব ডাকাতদের তাড়ানোও। নবীজীর (সাঃ) আমলে এসব ডাকাতরা বারবার মুসলিম ভূমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে। বদর, ওহুদ, খন্দক, হুনায়ুনের যুদ্ধে তারা সর্বশক্তি নিয়ে হাজির হয়েছিলো। সে আমলে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি অর্থ, শ্রম ও রক্তের ব্যয় ঘটেছে এ ডাকাতদের নির্মূল করতে। মুমিনের দায়িত্ব, লড়াইয়ের শক্তি যদি না থাকে কথার সাহায্যে প্রতিবাদ করা। সে সামর্থটুকুও না থাকলে তার উচিৎ এ ডাকাতদের মনেপ্রাণে ঘৃণা করা। আর হাদিসে বলা হয়েছে, এ ঘৃণাটুকু হচ্ছে ঈমানের সর্বনিম্ন পর্যায়। ঘৃণা না থাকার অর্থ ঈমানশুন্যতা। তবে প্রশ্ন হলো, এসব রাজনৈতিক ডাকাতদের দলে যারা ভিড়ে, যারা তাদের পক্ষ হয়ে লড়াই করে তাদেরকে কি বলা যাবে? তাপমাত্রা নিচে নামতে থাকলে সেটি শুন্যে এসে থেমে যায়না শুন্যের নিচেও নামতে পারে। তেমনি শুন্যের নিচে নামতে পারে ঈমানও। তাহলে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের ঘৃণা করার বদলে যারা পক্ষ নেয় তারা কি সে শ্রেণীর নয়?

Facebook Comment