Time & Date:: 07:00:17 AM Monday 14-04-2025
আসসালামু আলাইকুম। ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।। এই ওয়েব ব্লগটি সকল মুসলিম ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গ করা হলো আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে নিয়মিত চোখ রাখুন।। কারও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে অনুগ্রহ করে নিচে 'যোগাযোগ' লিংকে ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

তাবলীগের মুরুব্বীদের কতিপয় ভুল কথা


(এ সমস্ত কথার প্রত্যেকটিই ঈমান ও আকিদাহ বিনষ্ট করে দেয়)

১। প্রচলিত তাবলীগ জামা’আতের লোকদের লিখিত কিতাবে একথা উল্লেখ আছে যে, ‘মূর্খ হোক, আলেম হোক, ধনী হোক, দরিদ্র হোক সকল পেশার সকল মুসলমানের জন্য তাবলীগ করা ফরজে আইন।’ (হজরতজীর মলফুজাত, পৃষ্ঠা ৭; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরুদায়িত্ব, পৃষ্ঠা ৫৩; তাবলীগে ইসলাম, পৃষ্ঠা ৩; পস্তীকা ওয়াহেদ এলাজ, পৃষ্ঠা ২২)।

২। ইলিয়াস সাহেবের মলফুজাত সহ আরো অন্য কিতাবে লেখা আছে যে, ‘প্রচলিত তাবলীগ জামা’আত অনন্য ধর্মীয় তরীকা যা সকল দ্বীনী আন্দোলনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও সম্মানীত, যার থেকে ভালো তরীকা আর হতে পারেনা।’ (হজরতজীর মলফুজাত, পৃষ্ঠা ২৯; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরুদায়িত্ব, পৃষ্ঠা ৮৫; দাওয়াতে তাবলীগ কি ও কেন?, পৃষ্ঠা ৪৯; তাবলীগ জামা’আতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত, পৃষ্ঠা ৫৬)।

৩। মুহাম্মদ মুযাম্মিল হক লিখিত ‘তাবলীগ জামা’আত প্রসঙ্গে ১০ দফা’ নামক কিতাবের ১৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা আছে যে, ‘প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নবীওয়ালা কাজ।’ এখানে প্রশ্ন থেকেই যায়, নবীওয়ালা কাজ কি শুধু এটাই ছিলো?

৪। ইলিয়াস সাহেবের মলফুজাতের ১৮ পৃষ্ঠার ২৯ নং মলফুজে একথা উল্লেখ আছে যে, ‘নামাজ রোজা উচ্চাঙ্গের ইবাদত কিন্তু দ্বীনের সাহায্যকারী নয়।’

৫। তাবলীগ জামা’আত প্রসঙ্গে ‘তেরো দফা’ নামক কিতাবে ৭ পৃষ্ঠায় যা মুযাম্মিলুল হক উল্লেখ করেছেন, ‘মূর্খ লোকের আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লাহই যথেষ্ট, আর আলেম হওয়ার জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লাহর।’
৬। প্রচলিত তাবলীগ জামা’আতের সমর্থনপুষ্ট প্রায় কিতাবেই একথা লেখা আছে যে, নবী রাসুল আলাইহিমুস সালামগণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভূল করেছিলেন। যেমন হজরত আদম (আঃ) গন্দম ফল খেয়ে ভূল করেছিলেন ও হজরত ইউনুস (আঃ) দাওয়াত না দিয়ে ভূল করেছিলেন ইত্যাদি। (মলফুজাতে শায়খুল হাদিস, পৃষ্ঠা ২৩১; তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরুদায়িত্ব, লেখক মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী, পৃষ্ঠা ৬১)।

৭। মাওলানা ইসমাইল হোসেন দেওবন্দী লিখিত ‘তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরুদায়িত্ব’ নামক কিতাবের ৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, লক্ষাধিক সাহাবায়ে কিরামগণের (রাঃ) মধ্যে অধিকাংশই মূর্খ ছিলেন। (অনুরূপ শরীয়তের দৃষ্টিতে তাবলীগী নেছাব যার মূল মাওলানা যাকারিয়া প্রণীত ১৩ পৃষ্ঠা; তাবলীগী জামা’আতের প্রধানের তর্ক ও ইচ্ছা নামক কিতাবের ৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে)।


সম্মানীত পাঠক! যে সমস্ত ভুল-ত্রুটি উপরে আলোচনা করা হলো সেগুলো ছাড়াও এরকম অসংখ্য ভূল ত্রুটি তাবলীগী জামা’আতের বইগুলিতে উল্লেখ আছে। সবগুলো তুলে ধরতে গেলে বইয়ের কলেবর বৃদ্ধি পাবে তাই সবগুলো উল্লেখ করা হলো না। যাতে এতটুকু বোঝা যায় যে উক্ত বইগুলোতে ভূল যে আছে সেকথা প্রমাণিত এবং তাবলীগী জামা’আতের মুরুব্বিরা কি ধরণের আকিদাহ পোষণ করে থাকেন। আমি এখানে তাবলীগী জামা’আতের বিরূদ্ধে কিছু বলতে চাইনা কিন্তু যাতে সকল মুসলিম আল্লাহর সর্বোচ্চ দান ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’-এর পথে আসতে পারেন সেই জন্য আমার এই প্রচেষ্টা। আল্লাহপাক যেনো সকল মুসলিমদের সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে পরিচালিত হওয়ার তৌফিক নসীব করেন এবং আমার এই প্রচেষ্টাকে কবুল করেন। (আমীন)

Facebook Comment