Time & Date::
আসসালামু আলাইকুম। ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।। এই ওয়েব ব্লগটি সকল মুসলিম ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গ করা হলো আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে নিয়মিত চোখ রাখুন।। কারও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে অনুগ্রহ করে নিচে 'যোগাযোগ' লিংকে ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

প্রয়োজন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানো


সমস্যা হলো, ন্যায় কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ নিয়ে তাবলীগী জামা’আতের নেতাকর্মীদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তাদের আনন্দ বরং দেশে বিদেশে গাশত, চিল্লাহ, ফাজায়েলে আমল পাঠ এবং ইজতেমা নিয়ে। ফলে দুর্নীতি ও দুষ্কর্মে আমাদের দেশ পরিপূর্ণ হলেও তা নিয়ে তাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ১৯২৬ সালে (ইং) ভারতে দুর্বল ঈমানের মুসলমানদের হিন্দু হওয়া থেকে বাঁচাতে তাবলীগী জামা’আতের জন্ম হয়েছিলো। কিন্তু মুসলমানদের প্রয়োজন তো তার থেকে অনেক বেশি। সেটি নিছক হিন্দু হওয়া থেকে বাঁচা নয় বরং জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা। হয়তো কিছু দোয়া দরূদ শিখিয়ে বা গাশত চিল্লাহয় নামিয়ে কিছু লোককে হিন্দু হওয়া থেকে বাঁচানো যাবেকিন্তু তা দিয়ে কি জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানো যাবে? হিন্দু হওয়া থেকে বাঁচা আর জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা এক কথা নয়। আজকে পৃথীবিতে প্রায় ২০০ কোটি মুসলমানের ক’জন হিন্দু হচ্ছে? তাদের সমস্যা তো পরিপূর্ণ মুসলমান না হওয়ায়। সমস্যা তো নবীজীর (সাঃ) সুন্নাত মোতাবেক ইসলামি শরীয়ত প্রতিষ্ঠা না হওয়ায়। সমস্যান্যায়ের প্রতিষ্ঠা ও অন্যায়ের নির্মূলে আত্মত্যাগী সংগ্রামী না হওয়ায়। আর এজন্য যা জরুরী তা হলো, কোর’আনের জ্ঞানে নিজে আলোকিত হওয়া এবং সে সাথে অন্যদেরও আলোকিত করা। তাই মুসলমান শুধু অন্যদের নামাজে ডাকার জন্য বাঁচে না। লক্ষ্য শুধু নিজেদের নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ্জ আদায় বা গাশত, চিল্লাহ, কিতাব পাঠ বা ইজতেমায় অংশ নেওয়াও নয়। বরং তারা যেমন নিজেরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে চায় তেমনি বিশ্ববাসীকেও বাঁচাতে চায়। একাজে তাদের অবলম্বন হলো পূর্ণ কোর’আন।

আল্লাহতায়ালা চান সকল প্রকার মিথ্যা, অন্যায় ও জুলুমের নির্মূল। চান তার কোর’আনী বিধানের বিশ্বব্যাপী জয়। একমাত্র এ বিধানটি বিজয়ী হলে জয় হবে মানবতার। তখন প্রতিষ্ঠা পাবে বিশ্বশান্তি। মানবজাতির কল্যাণে কোর’আনী বিধানের প্রতিষ্ঠা তাই মহান রাব্বুল আলামীনের মূল এজেন্ডা। সে বিজয় তিনি তার কুদরৎ বলে নিমিষে সমাধা করতে পারতেন। হাজার হাজার মাইল ব্যাপী সুনামী যেমন আনতে পারেন তেমনি ইসলামের বিজয়ও আনতে পারেন। কিন্তু তিনি চান, সে বিজয় আসুক মুসলমানদের হাত দিয়ে। এখানে ইস্যু ঈমানদারদের পরীক্ষা। আল্লাহর খলিফারূপে মুমিনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব এখানেই। আল্লাহ চান মুমিনের মেধা, শ্রম, অর্থ ও আত্মবিনিয়োগ। সংগ্রামের মাধ্যমে মুমিন মূলত আল্লাহর এজেন্ডার সাথে একাত্ম হয়। ঈমানের সবচেয়ে বড় পরিক্ষাটি হয় এখানেই। পরীক্ষা হয় কে দুনিয়াবী সুখস্বাচ্ছন্দের জন্য বাঁচে আর কে পরকালের সফলতার জন্য বাঁচে।

আল্লাহতায়ালা কোর’আনে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ ۚ أَرَضِيتُم بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ ۚ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কি হয়েছে যে টমাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহর রাস্তায় বের হও তখন তোমরা ভারাক্রান্ত হয়ে মাটি আঁকড়ে থাকো; তোমরা কি আখেরাতের বদলে দুনিয়ার জীবন নিয়েই পরিতুষ্ট? কিন্তু আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ায় ভোগের সামগ্রী তো অতি সামান্যই” (সুরা তাওবা, ৩৮)।

আজকের মুসলমানদের দ্বারা এ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালিত হয়নি বলেই আল্লাহর দ্বীন আজ দেশে দেশে পরাজিত এবং মুসলিম দেশগুলোতেও বিজয়ের বেশে সমাসীন হচ্ছে শয়তানী বিধান। মুসলিমরাই আজ হয়ে পড়েছে অসহায়

Facebook Comment