Time & Date::
আসসালামু আলাইকুম। ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।। এই ওয়েব ব্লগটি সকল মুসলিম ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গ করা হলো আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে নিয়মিত চোখ রাখুন।। কারও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে অনুগ্রহ করে নিচে 'যোগাযোগ' লিংকে ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

অবহেলিত আল কোর’আন


মসজিদে মসজিদে প্রতিদিন মাগরিব বা এশার নামাজ শেষে বসে তাবলীগী জামা’আতের বৈঠক। সে বৈঠকে পবিত্র কোর’আন থেকে পাঠ হয়না বরং ‘ফাজায়েলে আমল’ থেকে কিছু অংশ পাঠ করে শোনানো হয়। প্রশ্ন হলো, কোর’আনের স্থলে ফাজায়েলে আমলের এতো গুরুত্ব কেনো? পবিত্র কোর’আন হলো আল্লাহপাকের কালাম। দাওয়াতের যে শক্তি ও হিকমত কোর’আনের মধ্যে আছে তা কি কোনো মানুষের কিতাবে থাকতে পারে? পবিত্র কোর’আনের সে মহাশক্তিকে আল্লাহতায়ালা বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, আল্লাহ বলেন,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
“প্রকৃত মুমিন তো তারাই যাদের অন্তর আল্লাহর নাম শোনার সাথে সাথে কেঁপে উঠে এবং যখন তার আয়াত পাঠ করে শোনানো হয় তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়” (সুরা আনফাল, ২)।

হজরত ওমরের (রাঃ) ন্যায় কঠোর হত্যাপাগল মানুশটিও কোর’আনের আয়াত পাঠ করতে শুনে আল্লাহর ভয়ে শিহরে উঠেছেন। সে ভয় নিয়ে নবীজীর (সাঃ) কাছে ছুটে গেছেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আর এমনটি শুধু হজরত ওমরের ক্ষেত্রে ঘটেনি। বহু কঠোর হৃদয় কাফেরদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে এবং সেটি আজও ঘটছে। আজও পৃথীবিতে যারা ইসলাম গ্রহণ করছে তাদেরও কথা, তারা ইসলাম কবুল করেছে শুধুমাত্র কোর’আন পাঠের পর। আল্লাহপাক নিজেই যেখানে ঘোষণা দিয়েছেন, কোর’আনের আয়াত পাঠ করলে ঈমান বেড়ে যায়। আমরা ঈমান বাড়ানোর চেষ্টায় আছি কি? অথচ, আমরা মুসলিমরাই আজকে কোর’আন থেকে বহুদূরে ছিটকে পড়ে গেছি। আজকের মুসলমানগণ মেঘের ন্যায় ইসলামের সামনে দাড়িয়েছে এবং আড়াল করেছে ইসলামের মূল পরিচয়কে। কিন্তু কোর’আন তার বিশুদ্ধ রূপ নিয়ে আজও একিভাবে বিদ্যমান। কোর’আন নিজেই এক বিস্ময়কর মোজেজা। পৃথিবীর বুকে একমাত্র এই কোর’আনই হলো মহান আল্লাহর নিজস্ব ভাষায় নিজের কথা। আল্লাহর সে কিতাবকে বাদ দিয়ে ফাজায়েলে আমলকে গুরুত্ব দেয়া কি ঈমানসম্মত? বিবেকসম্মতই বা কি করে বলা যায়? নবীজী (সাঃ) ও সাহাবাদের সময়ে এই একটিমাত্র কিতাব ছাড়া অন্য কোনো গ্রন্থই ছিলোনা। হাদিস গ্রন্থ লেখা হয়েছে তো নবীজীর (সাঃ) ওফাতের প্রায় দু’শত বছর পরে। কোর’আন বুঝার তাগিদে বহু দেশের মানুষ মাতৃভাষা পরিত্যাগ করে আরবি ভাষা শিখেছে। অথচ তাবলীগী জামা’আত তাদের বৈঠকে সে কোর’আন থেকে ছবক নেয়না। ছবক নেয় ফাজায়েলে আমল থেকে। সহিহ হাদিসগ্রন্থগুলিও সেখানে স্থান পায়না। পবিত্র কোর’আনের সাথে এর চেয়ে বর অবহেলা আর কি হতে পারে? যেখানে শিরক, বিদ’আত, হালাল হারাম, সুদ ঘূষ সম্পর্কে কোনো হাদিস নেই। আছে বিভিন্ন কেচ্ছাকাহিনী। তাই তাদের অধিকাংশ কর্মীই শিরক, বিদ’আত, সুদ ঘুষ ইত্যাদি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা এবং এগুলোর সাথে জুড়ে যাচ্ছে। মনের মধ্যে আল্লাহর ভীতিও খুব কম প্রভাব বিস্তার করছে।

Facebook Comment