"হে ঈমানদার লোকেরা ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো
এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উসিলা (উপায়) অন্বেষণ করো,
আর তাঁর পথে জিহাদ করো,
যাতে তোমরা সফলকাম হতে
পারো।"
"উসিলা মানে নৈকট্য"। (তাফসীর ইবনে কাসীর)
"উসিলা মানে নৈকট্য"। (তাফসীর ইবনে কাসীর)
* যে যে অসিলা খোঁজা নিষেধ ও দ্বীনের মধ্যে যার মূল্য নেই- তার শ্রেণী বিভাগঃ
- ১) মৃতদের মাধ্যমে অসিলা খোঁজাঃ তাদের কাছে কোন প্রয়োজনীয় জিনিস চাওয়া, সাহায্য চাওয়া যেটা আজ দেখা যাচ্ছে। একে মানুষ অসিলা মনে করে, কিন্তু মূলতঃ তা নয়। কারণ, অসিলার অর্থ হল আল্লাহ নিকটবর্তী হওয়া; যা ঈমানের দ্বারা এবং নেক কাজের দ্বারা সম্ভব। অন্যদিকে মৃতদের কাছে দোয়া করা আল্লাহ হতে মুখ ফিরানোর নামান্তর। তা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ আল্লাহ (সুব) বলেনঃ “আল্লাহ ছাড়া এমন অন্যের কাছে দোয়া কর না যারা না পারে তোমার উপকার করতে, আর না পারে তোমার ক্ষতি করতে। যদি তা কর তবে নিশ্চয়ই তুমি মোশরেকদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা ইউনুস ১০; ১০৬)
- ২) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সম্মানের অসিলা খোঁজাঃ যেমন বলা, হে আমার রব রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অসিলায় আমাকে রোগমুক্ত কর। এটা বেদ’আত। কারণ সাহাবীরা কেউ এটা করেন নাই। কারণ খলীফা ওমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচা আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-এর অসিলায় দোয়া করেছিলেন তার জীবিত অবস্থায় এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর তাঁর অসিলায় বৃষ্টির জন্য দোয়া করেননি। আর যে হাদীসে বলা হয় “আমাকে অসিলা করে দোয়া কর” সেটা মূলে হাদীসই নয়- যা শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন। আর এই বেদ’আতী অসিলা মানুষকে র্শিকে পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয় যখন এই ধারণা করা হয় যে, আল্লাহ (সুব) কোন মাধ্যম ছাড়া করতে পারেন না। যেমন আমীর ও বিচারকগণ। এতে আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা হয়। ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আমি আল্লাহ ছাড়া অন্যের অসিলা করে আল্লাহর কাছে চাওয়াকে, অপছন্দ করি।
- ৩) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মৃত্যুর পর তাঁর কাছে দোয়া করাঃ যেমন বলা, হে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দোয়া করুন। এটা জায়েয নয়। কারণ সাহাবীরা এটা কেউ করেননি। কারণ, আ্ললাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন মানুষ মারা যায় তখন তার আমলনামা তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া বন্ধ হয়ে যায়ঃ সাদাকায়ে জারিয়া করে থাকলে এবং ঐ উপকারী ইলম যা সে শিখিয়েছে এবং নেক সন্তান যে পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে।” (সহীহ মুসলিম)