Time & Date::
আসসালামু আলাইকুম। ভিজিট করার জন্য আপনাকে স্বাগতম।। এই ওয়েব ব্লগটি সকল মুসলিম ভাইবোনদের জন্য উৎসর্গ করা হলো আলহামদুলিল্লাহ। অনুগ্রহ করে নিয়মিত চোখ রাখুন।। কারও কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে অনুগ্রহ করে নিচে 'যোগাযোগ' লিংকে ক্লিক করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

আমিষ খাদ্য মুসলমানদেরকে প্রচন্ড উগ্র বানিয়ে ফেলে




প্রশ্নঃ বিজ্ঞান আমাদের বলেযে যা খায় তার আচরণে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। তাহলে ইসলাম কেন মুসলমানদেরকে আমিষ খাদ্য গ্রহণের অনুমতি দেয়। যেখানে পশুর মাংস ব্যক্তিকে হিংস্র দুঃসাহসী করে তুলতে পারে?

জবাব

. পশুর মধ্যে শুধু তৃনভোজী পশু খাওয়া অনুমোদিত
ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত যেব্যক্তি যা আহার করে তার প্রতিক্রিয়া তার আচরণে প্রকাশ পায়। বাঘসিংহনেকড়ে ইত্যাদি হিংস্র মাংসাশী প্রাণী খাওয়া ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে- এটা তার অন্যতম একটি কারণ। ধরনের হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। সে কারণে ইসলাম শুধু মাত্র গরুমহিশছাগলভেড়ার মতো শান্ত খুব সহজে পোষমানা প্রাণীর মাংস খেতে অনুমতি দেয়। বস্তুত কারণেই মুসলমানরা শান্তিকামী- শান্তিপ্রিয়।

. জ্যোতির্ময় কুরআন বলছে- যা কিছু মন্দ রাসূল তা নিষিদ্ধ করেছেন

“রাসূল তাদেরকে ভালো কাজ করতে আদেশ করেন। আর নিষেধ করেন যাবতীয় মন্দ থেকে এবং তিনি তাদের জন্য হালাল করেছেন যা কিছূ ভালপবিত্রপরিচ্ছন্ন। আর হারাম করেছেন যা কিছু মন্দ অপরিচ্ছন্ন অপবিত্র।” (:১৫৭)

“রাসূল তোমাদেরকে যা কিছু দেন তা তোমরা গ্রহণ করো। আর যে সব থেকে নিষেধ করেন সে সব থেকে বিরত থাকো।” (৫৯-)

একজন মুসলমানের জন্য তাদের রাসূলের এই বার্তার যথেষ্ট যেআল্লাহ চান না মানুষ এমন কোনো ধরনের মাংস খায়- যেখানে অন্য কিছু ধরনকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

. মাংসাশী প্রাণী খাবার ব্যাপারে রাসূল ()-এর বাণী
সহীহ বুখারী মুসলিমে বর্ণিত বেশ কিছু সর্বসম্মত শুদ্ধ হাদীসের মধ্যে ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণিত মুসলিম শরীফের ‘শিকার জবাইঅধ্যায়ের ৪৭৫ নং হাদীসেসুনানে ইবনে মাজাহর ১৩ অধ্যায়ের ৩২৩২ থেকে ৩২৩৪ হাদীস সমূহ উল্লেখযোগ্য। রাসূল () খেতে নিষেধ করেছেনঃ

. তীক্ষ্ণ ধারালো দাঁতওয়ালা হিংস্র জন্তু। অর্থাৎ মাংসাশী বন্য পশু প্রধানত বেড়াল কুকুর জাতীয় বাঘসিংহবেড়াল এবং শেয়াল,কুকুরনেকড়েহায়না ইত্যাদি।
. তীক্ষ্ণ দন্ডের অন্যান্য প্রাণী যেমন ইঁদুরন্যাংটি ইদুরছুঁচো ধারালো নখওয়ালা খরগোশ ইত্যাদি।
. সরিশ্রীপ জাতীয় অন্যান্য প্রাণী যেমন সাপ কুমীর ইত্যাদি।
. ধারালো ঠোঁট নখরওয়ালা শিকারী পাখি যেমন চিলশুকুনকাকপেচাঁ ইত্যাদি। সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে পারে এমন কোনো বৈজ্ঞানীক দলিল নেই যেআমিষ খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষ উগ্র হিংস্র হয়ে উঠতে পারে।






সুত্রঃ কুরানের আলো

Facebook Comment